গোমস্তাপুরে নানা আয়োজনে নববর্ষ উৎযাপন
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ উত্তর রহনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ বেগম পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উৎযাপন উপলক্ষে নিজ উদ্যোগে নানা ধরনের আয়োজন করে। রবিবার সকাল থেকে রহনপুর পৌর এলাকার পুনর্ভবা নদী ঘেঁষা বাবুরঘোন মহল্লা ওই শিক্ষিকার বাড়িতে চলে এই আয়োজন। ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রামের নারীরা তাকে সহযোগীতা করে থাকে। সকাল থেকে শিশু,কিশোর-কিশোরী ও নারীরা বাহারি পোশাকে সজ্জিত হয়ে নবর্বষ উৎযাপন করে।নাচ,গান,কৌতুক,গীত,গম্ভীরাসহ পূরনোকালের সংস্কৃতি পরিবেশন করা হয়। দুপুরে পান্তাভাত, লবন,কাচা মরিচ, পেঁয়াজ, মাছ, আম দিয়ে সজিনার ডাটা খাবারে ভিন্নতার আনন্দ দেখা গেছে। প্রতিবছর মমতাজ বেগম গ্রাম বাংলার পূরনো সংস্কৃতি নতুনদের সামনে তুলে ধরতে পিঠাপুলি, পোষালু উৎসব, নদী থেকে কলসিতে পানি আনা, গুটি খেলা, টেঁকি ও জাতাতে নতুন ধানের চাল ছড়ানো, বিয়ের অনুষ্ঠানে গীত গাওয়াসহ নানা আয়োজন করে থাকে। তার এসব আয়োজন দেখতে ছুটে আসত, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী জাইদা রহমান বলেন, নবর্বষ উদযাপন করতে এসে ভাল লাগছে। শাড়ী পড়েছি, মাথায় ফুলের তোরা দিয়েছি। নাচ ও গান করেছি। পান্তাভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ তৃপ্তিসহকারে খেয়েছি। মমতাজ ম্যাডামের জন্য আনন্দ পাচ্ছি।
রহনপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাবিবা সাত্তার বলেন, মমতাজ বেগম পূরনো কৃষ্টি কালচার নতুনদের কাছে তুলে ধরতে এসব উৎসব পালন করে থাকে। তিনি কখন বিরক্তবোধ হন না। উদ্দীপনার মাধ্যম আয়োজন করে থাকে। চেষ্টা করি তার উৎসবগুলোতে অংশ গ্রহণ করে থাকতে। এখানে আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ভেসে আসে। গ্রামীণ সংস্কৃতিগুলো আজ বিলুপ্তির পথে।
শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নতুনদের কাছে তুলে ধরতে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করে থাকি। তার আয়োজন দেখতে দূরদুরান্ত থেকে আসে বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা।এতে ভাল লাগে তার। গ্রামের লোকজন, শিক্ষার্থী ও দেখতে আসা ব্যক্তিরা উৎসাহ জোগায়। তবে নতুন প্রজন্ম জানতে পারুছে পুরণো সংস্কৃতি। প্রতিবছর উৎসবগুলো আয়োজন করবেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply