এই প্রতিবেদনে সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি আক্রমণের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর, সোমবার, সিরিয়ার অন্তত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান বোমাবর্ষণ চালিয়েছে, যেখানে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার এবং বিমান ছিল। হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, যার মধ্যে কামিশলি বিমানঘাঁটি, হোমসের শিনশার ঘাঁটি এবং দামেস্কের আকরবা বিমানঘাঁটি অন্তর্ভুক্ত।
এই হামলার পরবর্তী সময়ে ইসরায়েল সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কেমিক্যাল অস্ত্রাগার এবং অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনাসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী এই আক্রমণগুলো একাধিকবার চালিয়েছে, এবং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সিরিয়ার বিমান বাহিনী ধ্বংস হওয়ার পথে।
এটি ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী নীতির অংশ হতে পারে, যেখানে তারা সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে চালিয়ে যাচ্ছে আক্রমণ। যদিও এসব হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
সিরিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী ২৫০টি হামলা চালিয়েছে, যা গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে। এ হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা, যার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কেমিক্যাল অস্ত্রাগার, অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং ট্যাঙ্ক অন্তর্ভুক্ত।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৩০০টি হামলা চালিয়েছে। এ হামলাগুলোর ফলে সিরিয়ার বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য সামরিক শক্তির ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালানোর মাধ্যমে সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, বিশেষ করে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে। ৯ ডিসেম্বর, সোমবার, সিরিয়ার অন্তত তিনটি প্রধান বিমানঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ চালানো হয়, যার মধ্যে কামিশলি বিমানঘাঁটি, শিনশার ঘাঁটি এবং আকরবা বিমানঘাঁটি ছিল।
এই হামলাগুলি সিরিয়ার সামরিক শক্তির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে এবং কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এমন হামলার গতিতে সিরিয়ার বিমান বাহিনী খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply